২০১৪ সালের সেরা ১০ আবিষ্কার ও বৈজ্ঞানিক সাফল্য...... চলুন ঘুরে আসি ২০১৪-এর বিজ্ঞানভুবনে...............।। প্রখ্যাত বিজ্ঞান জার্নাল সায়েন্সের করা বর্ষসেরা দশ তালিকা...
বিজ্ঞানীরা বছর গুনে আবিষ্কারের নেশায় ছোটেন না। কিন্তু তারপরও একেকটি বছরে এক এক ধরণের বৈজ্ঞানিক সাফল্য এসে ধরা দেয়। নিচে ২০১৪ সালের সেরা বৈজ্ঞানিক সাফল্যগুলো তুলে ধরা হলো-......।।
বিজ্ঞানীরা বছর গুনে আবিষ্কারের নেশায় ছোটেন না। কিন্তু তারপরও একেকটি বছরে এক এক ধরণের বৈজ্ঞানিক সাফল্য এসে ধরা দেয়। নিচে ২০১৪ সালের সেরা বৈজ্ঞানিক সাফল্যগুলো তুলে ধরা হলো-......।।
চ্যাম্পিয়ন : ধূমকেতুজয়ী রোবট
------------------------------------------
১২ নভেম্বর ২০১৪। ৫১ কোটি কিলোমিটার দূরের এক ধূমকেতুতে সফলভাবে অবতরণ করে মনুষ্যনির্মিত রোবট ফিলায়ে। আর এরই মধ্য দিয়ে অন্য উচ্চতায় উঠে মানুষ।
ইউরোপীয় স্পেস এ্যাজেন্সির (ইসা) নভোযান রোসেটার রোবটটি যে ধূমকেতুতে অবতরণ করে তার নাম চুরিয়মোভ-গেরাসিমেনকো (সংক্ষেপে চুরি)। একে ৬৭পি নামেও ডাকা হয়।
দীর্ঘ ১০ বছর মহাকাশের আলো-আঁধারির মধ্য দিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় শ’ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৬৭পিতে পৌঁছায় রোসেটা।
এই বিষয়ে মতামত জানতে যোগাযোগ করেছিলাম কানাডীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী সারা সিগারের সঙ্গে।
ধূমকেতুতে রোবট অবতরণকে বড় এক পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই নারী বিজ্ঞানী বলেন, ‘মানব সভ্যতায় এ এক মহাদিন।’
উল্লেখ্য, ব্যাটারি ফুরিয়ে ঝিমিয়ে পড়ার আগে রোবট ফিলায়ে প্রায় সব বৈজ্ঞানিক কাজই সম্পন্ন করেছে। এমনকি ধূমকেতুর পৃষ্ঠে জৈব অণু ও বরফ আস্তরণের সন্ধান দিয়েছে রোবটটি।
------------------------------------------
১২ নভেম্বর ২০১৪। ৫১ কোটি কিলোমিটার দূরের এক ধূমকেতুতে সফলভাবে অবতরণ করে মনুষ্যনির্মিত রোবট ফিলায়ে। আর এরই মধ্য দিয়ে অন্য উচ্চতায় উঠে মানুষ।
ইউরোপীয় স্পেস এ্যাজেন্সির (ইসা) নভোযান রোসেটার রোবটটি যে ধূমকেতুতে অবতরণ করে তার নাম চুরিয়মোভ-গেরাসিমেনকো (সংক্ষেপে চুরি)। একে ৬৭পি নামেও ডাকা হয়।
দীর্ঘ ১০ বছর মহাকাশের আলো-আঁধারির মধ্য দিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় শ’ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৬৭পিতে পৌঁছায় রোসেটা।
এই বিষয়ে মতামত জানতে যোগাযোগ করেছিলাম কানাডীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী সারা সিগারের সঙ্গে।
ধূমকেতুতে রোবট অবতরণকে বড় এক পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই নারী বিজ্ঞানী বলেন, ‘মানব সভ্যতায় এ এক মহাদিন।’
উল্লেখ্য, ব্যাটারি ফুরিয়ে ঝিমিয়ে পড়ার আগে রোবট ফিলায়ে প্রায় সব বৈজ্ঞানিক কাজই সম্পন্ন করেছে। এমনকি ধূমকেতুর পৃষ্ঠে জৈব অণু ও বরফ আস্তরণের সন্ধান দিয়েছে রোবটটি।
সৃষ্টিশীল রোবট
---------------------
সময়ের সঙ্গে স্মার্ট হচ্ছে রোবট। এমনকি এ বছর বেশ কয়েকটি দল এমন রোবট বানিয়েছে যে সব রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। যেমন— এ বছর আমরা এমন রোবট দেখেছি যারা নিজেদের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়া তৈরি করতে সক্ষম এবং এরা চলতে ফিরতে এদের স্রষ্টা মানুষের দরকার বোধ করে না। এমনকি এরা নিজেরাই বুদ্ধি বের করে নতুন কিছু তৈরি করে।
যেমন একটি প্রবন্ধে গবেষকরা দাবি করেন, তাদের সৃষ্ট পয়সা আকারের ছোট্ট রোবটেরা একে অপরকে খুঁজে বের করতে সক্ষম এবং কোনো নির্দেশনা ছাড়া নিজেরাই বর্ণ এবং দ্বি-মাত্রিক কিছু কাঠামো তৈরি করতে সক্ষম।
আরেকটি প্রকল্পে দেখা যায়, বিশেষ এক জাতের রোবট নিজেদের মধ্যে বেতার যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারদর্শী। চলার পথে যেন ধাক্কা-সংঘর্ষ না বাধে, সেই কথা ‘মাথায় রেখে’ বেতার তরঙ্গে একে অন্যকে জানিয়ে দেয় কে, কোথায় আছে। ঘূর্ণায়মান একটি বৃত্তাকার চক্র তৈরিতে এরা অঙ্ক কষে সংঘর্ষহীন চক্করও দিতে সক্ষম। এ রকম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন আরও কয়েক ধরনের রোবট উদ্ভাবিত হয়েছে ২০১৪ সালে।
---------------------
সময়ের সঙ্গে স্মার্ট হচ্ছে রোবট। এমনকি এ বছর বেশ কয়েকটি দল এমন রোবট বানিয়েছে যে সব রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। যেমন— এ বছর আমরা এমন রোবট দেখেছি যারা নিজেদের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়া তৈরি করতে সক্ষম এবং এরা চলতে ফিরতে এদের স্রষ্টা মানুষের দরকার বোধ করে না। এমনকি এরা নিজেরাই বুদ্ধি বের করে নতুন কিছু তৈরি করে।
যেমন একটি প্রবন্ধে গবেষকরা দাবি করেন, তাদের সৃষ্ট পয়সা আকারের ছোট্ট রোবটেরা একে অপরকে খুঁজে বের করতে সক্ষম এবং কোনো নির্দেশনা ছাড়া নিজেরাই বর্ণ এবং দ্বি-মাত্রিক কিছু কাঠামো তৈরি করতে সক্ষম।
আরেকটি প্রকল্পে দেখা যায়, বিশেষ এক জাতের রোবট নিজেদের মধ্যে বেতার যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারদর্শী। চলার পথে যেন ধাক্কা-সংঘর্ষ না বাধে, সেই কথা ‘মাথায় রেখে’ বেতার তরঙ্গে একে অন্যকে জানিয়ে দেয় কে, কোথায় আছে। ঘূর্ণায়মান একটি বৃত্তাকার চক্র তৈরিতে এরা অঙ্ক কষে সংঘর্ষহীন চক্করও দিতে সক্ষম। এ রকম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন আরও কয়েক ধরনের রোবট উদ্ভাবিত হয়েছে ২০১৪ সালে।
পাখির জন্ম
--------------------
অতিকায় টিরেক্স, যাদের রাজবংশী ডাইনোসর বলা হয়ে থাকে, কীভাবে তারা চঞ্চলপ্রাণ হামিংবার্ড হয়ে উঠল? কিংবা প্রকৃতিসুন্দর রাজহাঁস? সে এক দীর্ঘ সময়ের গল্প। এ বছর বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানীরা ডাইনোসরদের পাখি হয়ে ওঠার সেই লম্বা পথের গতিধারা ও চড়াই-উৎরাই চিত্রিত করেছেন।
কুড়ি বছর আগে চীনে কুড়িয়ে পাওয়া ডাইনোসর ফসিল (কঙ্কাল) বিজ্ঞানীদের সামনে যে অতীত উন্মোচন করেছে তাতে দেখা গেছে, পাখিদেরও আগে পালকের সৃষ্টি। এর মানে পালকের জন্ম নিছক ওড়ার জন্যই কেবল নয়, তাহলে কী? সম্ভাব্য উত্তরের তালিকায় আছে তাপ সঞ্চয় ও সঞ্চারণ, মানে দেহকে উষ্ণ রাখা। শ্রীবৃদ্ধি হতে পারে পালক বিবর্তনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এমনকি হতে পারে দেহের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পালককে স্বাগত জানিয়েছিল ডাইনোসররা। একদা সেই পালকই ডাঙ্গার ডাইনোসরকে পাখি হয়ে আকাশে উড়তে কিংবা রাজহাঁস হয়ে জলে সাঁতার কাটতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
--------------------
অতিকায় টিরেক্স, যাদের রাজবংশী ডাইনোসর বলা হয়ে থাকে, কীভাবে তারা চঞ্চলপ্রাণ হামিংবার্ড হয়ে উঠল? কিংবা প্রকৃতিসুন্দর রাজহাঁস? সে এক দীর্ঘ সময়ের গল্প। এ বছর বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানীরা ডাইনোসরদের পাখি হয়ে ওঠার সেই লম্বা পথের গতিধারা ও চড়াই-উৎরাই চিত্রিত করেছেন।
কুড়ি বছর আগে চীনে কুড়িয়ে পাওয়া ডাইনোসর ফসিল (কঙ্কাল) বিজ্ঞানীদের সামনে যে অতীত উন্মোচন করেছে তাতে দেখা গেছে, পাখিদেরও আগে পালকের সৃষ্টি। এর মানে পালকের জন্ম নিছক ওড়ার জন্যই কেবল নয়, তাহলে কী? সম্ভাব্য উত্তরের তালিকায় আছে তাপ সঞ্চয় ও সঞ্চারণ, মানে দেহকে উষ্ণ রাখা। শ্রীবৃদ্ধি হতে পারে পালক বিবর্তনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এমনকি হতে পারে দেহের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পালককে স্বাগত জানিয়েছিল ডাইনোসররা। একদা সেই পালকই ডাঙ্গার ডাইনোসরকে পাখি হয়ে আকাশে উড়তে কিংবা রাজহাঁস হয়ে জলে সাঁতার কাটতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
যৌবন ফের আসবে ফিরে
-------------------------
‘চাও কি বয়স ধরে রাখতে…’ নচিকেতা ‘হকার’ সেজে কী গেয়েছেন তা হয়তো খুব একটা কাজে লাগবে না। কিন্তু গান নয়, স্বয়ং গবেষণাই বলছে, বুড়িয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে পেতে পারে ফেলে আসা যৌবন।
ইঁদুরের রক্ত নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মিলেছে এমন আকাশ-অসীম আকাঙ্ক্ষার প্রতিশ্রুতি। শিশু ইঁদুরের রক্ত ও রক্তের উপাদান নিয়ে গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বুড়ো ইঁদুরের পেশী এমনকি মস্তিষ্কও পুরো নতুন করে নেওয়া সম্ভব।
এই প্রকল্প ইতোমধ্যে মানুষের ক্ষেত্রেও প্রয়োগের চেষ্টা চলছে। যদি ইঁদুরের মতো মানুষের রক্তেও একই ব্যবস্থা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়, তাহলে বাজিমাত। তারুণ্য ধরে রাখতে পারবে মানুষ। তখন জীবন হবে এক লম্বা ইনিংস। বয়স বাড়বে, কিন্তু মানুষ আর তখন বুড়ো হবে না। এমন অমরত্বের সাধ তো মানুষের সভ্যতাসমান প্রাচীন।
-------------------------
‘চাও কি বয়স ধরে রাখতে…’ নচিকেতা ‘হকার’ সেজে কী গেয়েছেন তা হয়তো খুব একটা কাজে লাগবে না। কিন্তু গান নয়, স্বয়ং গবেষণাই বলছে, বুড়িয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে পেতে পারে ফেলে আসা যৌবন।
ইঁদুরের রক্ত নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মিলেছে এমন আকাশ-অসীম আকাঙ্ক্ষার প্রতিশ্রুতি। শিশু ইঁদুরের রক্ত ও রক্তের উপাদান নিয়ে গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বুড়ো ইঁদুরের পেশী এমনকি মস্তিষ্কও পুরো নতুন করে নেওয়া সম্ভব।
এই প্রকল্প ইতোমধ্যে মানুষের ক্ষেত্রেও প্রয়োগের চেষ্টা চলছে। যদি ইঁদুরের মতো মানুষের রক্তেও একই ব্যবস্থা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়, তাহলে বাজিমাত। তারুণ্য ধরে রাখতে পারবে মানুষ। তখন জীবন হবে এক লম্বা ইনিংস। বয়স বাড়বে, কিন্তু মানুষ আর তখন বুড়ো হবে না। এমন অমরত্বের সাধ তো মানুষের সভ্যতাসমান প্রাচীন।
মস্তিষ্কের আদলে কম্পিউটার চিপ
----------------------------------------
মানুষের মস্তিষ্কের মতো অত জটিল কি কিছু আর আছে? ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী রজার পেনরোজ মনে করেন, ‘আকাশগঙ্গার চেয়েও জটিল মানবমস্তিষ্ক।’
আমার-আপনার মস্তিষ্কে স্নায়ুকোষ নিউরনের সংখ্যা দশ হাজার কোটি। এই কোষগুলো নাজুক, স্পর্শকাতর এবং প্যাঁচানো। মানুষের মস্তিষ্কে নিউরন গেরোর (বিজ্ঞানের ভাষায় সিনাপটিক সংযোগ) সংখ্যা দশ লাখ কোটি। আর আমাদের ছায়াপথ আকাশগঙ্গায় মোট গ্রহের সংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজার কোটি।
আর এই অতিকায় ছায়াপথের তুলনায় অতি নগণ্য এক টুকরো মস্তিষ্কে এত গেরো। এই সব গেরোর মধ্য দিয়েই রাসায়নিক যোগাযোগ সারে আমাদের নিউরনেরা। আর এরই সাহায্যে নানা ধরনের তথ্যচিত্র তৈরি করে মস্তিষ্ক।
ঠিক একইভাবে কাজ করতে পারে কি কম্পিউটার চিপ?
বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কোম্পানি আইবিএম (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন) সে চেষ্টাই করছে। এ বছর সে রকমই কিছু অগ্রগতির খবর দিয়েছে আইবিএমের কম্পিউটারবিজ্ঞানীরা।
৫৪০ কোটি ট্রানজিস্টর (নিউরন) পুরেছে তারা একটা মাত্র চিপে। ট্রুনর্থ নামের ওই চিপে বিজ্ঞানীরা জুড়ে দিয়েছেন ২৫ কোটি ৬০ লাখ গেরো (সিনাপসিস)। মুহূর্তেই বিশ্বব্যাপী অগণিত তথ্যের মসৃণ ও বাধাহীন সরবরাহ নিশ্চিত করতে জটিল নেটওয়ার্ক তৈরিই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
----------------------------------------
মানুষের মস্তিষ্কের মতো অত জটিল কি কিছু আর আছে? ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী রজার পেনরোজ মনে করেন, ‘আকাশগঙ্গার চেয়েও জটিল মানবমস্তিষ্ক।’
আমার-আপনার মস্তিষ্কে স্নায়ুকোষ নিউরনের সংখ্যা দশ হাজার কোটি। এই কোষগুলো নাজুক, স্পর্শকাতর এবং প্যাঁচানো। মানুষের মস্তিষ্কে নিউরন গেরোর (বিজ্ঞানের ভাষায় সিনাপটিক সংযোগ) সংখ্যা দশ লাখ কোটি। আর আমাদের ছায়াপথ আকাশগঙ্গায় মোট গ্রহের সংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজার কোটি।
আর এই অতিকায় ছায়াপথের তুলনায় অতি নগণ্য এক টুকরো মস্তিষ্কে এত গেরো। এই সব গেরোর মধ্য দিয়েই রাসায়নিক যোগাযোগ সারে আমাদের নিউরনেরা। আর এরই সাহায্যে নানা ধরনের তথ্যচিত্র তৈরি করে মস্তিষ্ক।
ঠিক একইভাবে কাজ করতে পারে কি কম্পিউটার চিপ?
বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কোম্পানি আইবিএম (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন) সে চেষ্টাই করছে। এ বছর সে রকমই কিছু অগ্রগতির খবর দিয়েছে আইবিএমের কম্পিউটারবিজ্ঞানীরা।
৫৪০ কোটি ট্রানজিস্টর (নিউরন) পুরেছে তারা একটা মাত্র চিপে। ট্রুনর্থ নামের ওই চিপে বিজ্ঞানীরা জুড়ে দিয়েছেন ২৫ কোটি ৬০ লাখ গেরো (সিনাপসিস)। মুহূর্তেই বিশ্বব্যাপী অগণিত তথ্যের মসৃণ ও বাধাহীন সরবরাহ নিশ্চিত করতে জটিল নেটওয়ার্ক তৈরিই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
ডায়াবেটিস সারাতে ভরসা ভ্রুণকোষ
-------------------------------------
স্টেম সেল (কৃত্রিম ভ্রুণকোষ) আবিষ্কারের পর থেকেই বিজ্ঞানীরা একে বড় বড় রোগ-বালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াকু হিসেবে কাজে লাগাতে চেয়েছেন। এ বছর সাফল্য এসেছে এ সংক্রান্ত গবেষণায়।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস এর জন্য দায়ী কোষকে সরিয়ে তার স্থলে কৃত্রিম কোষ স্থাপনে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অন্তত দুটি দল এ নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ করেছে চলতি বছর।
-------------------------------------
স্টেম সেল (কৃত্রিম ভ্রুণকোষ) আবিষ্কারের পর থেকেই বিজ্ঞানীরা একে বড় বড় রোগ-বালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াকু হিসেবে কাজে লাগাতে চেয়েছেন। এ বছর সাফল্য এসেছে এ সংক্রান্ত গবেষণায়।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস এর জন্য দায়ী কোষকে সরিয়ে তার স্থলে কৃত্রিম কোষ স্থাপনে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অন্তত দুটি দল এ নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ করেছে চলতি বছর।
গুহাচিত্রে প্রাচীন মানুষের শিল্পচর্চার স্বাক্ষর
---------------------------------------
এ বছর ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন গুহাচিত্রের খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। গুহার দেওয়ালে পাওয়া হাতের ছাপগুলো প্রায় ৪০ হাজার বছর আগের। এর মানে মানুষের শিল্পচর্চার ইতিহাস অনেক পুরনো। এই হাতের ছাপকে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের প্রধান স্বাক্ষর হিসেবে অভিহিত করেন বিজ্ঞানবোদ্ধারা।
আদিম মানুষ কীভাবে চিন্তা করত, সেই আবহ উঠে এসেছে সুলাওয়েসি দ্বীপে গুহাচিত্রে।
---------------------------------------
এ বছর ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন গুহাচিত্রের খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। গুহার দেওয়ালে পাওয়া হাতের ছাপগুলো প্রায় ৪০ হাজার বছর আগের। এর মানে মানুষের শিল্পচর্চার ইতিহাস অনেক পুরনো। এই হাতের ছাপকে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের প্রধান স্বাক্ষর হিসেবে অভিহিত করেন বিজ্ঞানবোদ্ধারা।
আদিম মানুষ কীভাবে চিন্তা করত, সেই আবহ উঠে এসেছে সুলাওয়েসি দ্বীপে গুহাচিত্রে।
বাস্তবে ঘটেনি, কিন্তু স্মৃতিতে আছে!
--------------------------------
স্মৃতি বড়ই ক্ষয়প্রবণ। সময়ের সঙ্গে মুছে যেতে ভালবাসে স্মৃতি। নতুনের ভিড়ে আমরা পুরনো স্মৃতি মিলিয়ে ফেলি। ফিকে হয়ে আসে এক সময়ের প্রাণোচ্ছল করা মুহূর্তগুলো। যদিবা হারিয়ে না যাও স্মৃতির অতল গহ্বরে, তবে কানা-গলিতে পড়ে থাকে পুরনো কোনো বিকেলের সোনালী-রূপালী আবেগ-অনুভূতি।
কিন্তু কখনো কখনো এ রকমটাও হয় এমন কিছু আমরা স্মরণ করি, আদৌ যা ঘটেনি পূর্বে! এটা কীভাবে সম্ভব? যা ঘটেনি, তা আমার স্মৃতির চৌহদ্দিতে ঢুকে পড়ল কী করে? কীভাবে শূন্য থেকে জন্ম নিল অমূলক কোনো অনুভূতি?
--------------------------------
স্মৃতি বড়ই ক্ষয়প্রবণ। সময়ের সঙ্গে মুছে যেতে ভালবাসে স্মৃতি। নতুনের ভিড়ে আমরা পুরনো স্মৃতি মিলিয়ে ফেলি। ফিকে হয়ে আসে এক সময়ের প্রাণোচ্ছল করা মুহূর্তগুলো। যদিবা হারিয়ে না যাও স্মৃতির অতল গহ্বরে, তবে কানা-গলিতে পড়ে থাকে পুরনো কোনো বিকেলের সোনালী-রূপালী আবেগ-অনুভূতি।
কিন্তু কখনো কখনো এ রকমটাও হয় এমন কিছু আমরা স্মরণ করি, আদৌ যা ঘটেনি পূর্বে! এটা কীভাবে সম্ভব? যা ঘটেনি, তা আমার স্মৃতির চৌহদ্দিতে ঢুকে পড়ল কী করে? কীভাবে শূন্য থেকে জন্ম নিল অমূলক কোনো অনুভূতি?
প্রশ্নগুলোর পেছনে হন্যে হয়ে ছুটছেন বিজ্ঞানীরা।
------------------------------------------
এ বছর বিজ্ঞানীরা অধরা উত্তরের কিছুটা আঁচ পেয়েছেন। বলা বাহুল্য, গবেষণা হয়েছে ইঁদুরের স্মৃতি নিয়ে। ইঁদুর ক্ষেত্রে সুখকর স্মৃতিকে দুঃখের স্মৃতিতে এবং যন্ত্রণাময় স্মৃতিকে আনন্দের স্মৃতিতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্মৃতির এমন রূপান্তরে মস্তিষ্ক কী রূপ আচরণ প্রদর্শন করে, সেটাই দেখতে চেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভবিষ্যতে হয়তো মানুষের স্মৃতি নিয়েও একই পরীক্ষা করা হবে। একদিন স্মৃতি তার সবটুকু রহস্য খুলে বসবে মানুষের কাছে।
------------------------------------------
এ বছর বিজ্ঞানীরা অধরা উত্তরের কিছুটা আঁচ পেয়েছেন। বলা বাহুল্য, গবেষণা হয়েছে ইঁদুরের স্মৃতি নিয়ে। ইঁদুর ক্ষেত্রে সুখকর স্মৃতিকে দুঃখের স্মৃতিতে এবং যন্ত্রণাময় স্মৃতিকে আনন্দের স্মৃতিতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্মৃতির এমন রূপান্তরে মস্তিষ্ক কী রূপ আচরণ প্রদর্শন করে, সেটাই দেখতে চেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভবিষ্যতে হয়তো মানুষের স্মৃতি নিয়েও একই পরীক্ষা করা হবে। একদিন স্মৃতি তার সবটুকু রহস্য খুলে বসবে মানুষের কাছে।
জীবনলিপিতে যোগ হল আরও দুটি বর্ণ
-----------------------------------
প্রতিটি উদ্ভিদ, প্রতিটি প্রাণী জীবনমানেই চার বর্ণের ধারাপাত। বর্ণ চারটি হল এ (এ্যাডেনিন), সি (সাইটোসিন), জি (গুয়ানিন) এবং টি (থায়ামিন)।
এই চারটি বর্ণ দুই ধরনের জোড় বাঁধে। ডিএনএ’র বেলায় এ্যাডেনিন সবসময়ই থায়ামিনের সঙ্গে, মানে এ-টি জোড়। আরএনএ’র বেলায় টি-এর পরিবর্তে ইউ তথা ইউরাসিল থাকে বলে এই জোড়টা হয় এ-ইউ জোড়।
ওদিকে সাইটোসিন সর্বদাই গুয়ানিনের সঙ্গে (সি-জি) জোড় বাঁধে। এই জোড় দুটোর রকম রকম বিন্যাসের ফলই হল জীবকুলের বৈচিত্র্যে ভরা বিশ্বসম্ভার।
এই চারটি বর্ণ নিয়েই সব জীবের জীবন বর্ণমালা।
এই বর্ণমালাকে বিজ্ঞানীরা সমৃদ্ধ করেছেন এ বছর। জ্ঞান গবেষণার ইতিহাসে যা এক বিপ্লবী ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়ার জীবনলিপিতে যোগ করেন আরও দুটো বর্ণ। এক্স এবং অয়াই। মানে ওই ব্যাকটেরিয়াটির জীবনজোড় তিনটি— এ-টি, সি-জি এবং এক্স-ওয়াই। এই কৃত্রিম জোড় (শাস্ত্রের ভাষায় নিউক্লিওটাইড) ভবিষ্যতে কী বিপ্লব বয়ে আনে সেটাই দেখার বিষয়।
-----------------------------------
প্রতিটি উদ্ভিদ, প্রতিটি প্রাণী জীবনমানেই চার বর্ণের ধারাপাত। বর্ণ চারটি হল এ (এ্যাডেনিন), সি (সাইটোসিন), জি (গুয়ানিন) এবং টি (থায়ামিন)।
এই চারটি বর্ণ দুই ধরনের জোড় বাঁধে। ডিএনএ’র বেলায় এ্যাডেনিন সবসময়ই থায়ামিনের সঙ্গে, মানে এ-টি জোড়। আরএনএ’র বেলায় টি-এর পরিবর্তে ইউ তথা ইউরাসিল থাকে বলে এই জোড়টা হয় এ-ইউ জোড়।
ওদিকে সাইটোসিন সর্বদাই গুয়ানিনের সঙ্গে (সি-জি) জোড় বাঁধে। এই জোড় দুটোর রকম রকম বিন্যাসের ফলই হল জীবকুলের বৈচিত্র্যে ভরা বিশ্বসম্ভার।
এই চারটি বর্ণ নিয়েই সব জীবের জীবন বর্ণমালা।
এই বর্ণমালাকে বিজ্ঞানীরা সমৃদ্ধ করেছেন এ বছর। জ্ঞান গবেষণার ইতিহাসে যা এক বিপ্লবী ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়ার জীবনলিপিতে যোগ করেন আরও দুটো বর্ণ। এক্স এবং অয়াই। মানে ওই ব্যাকটেরিয়াটির জীবনজোড় তিনটি— এ-টি, সি-জি এবং এক্স-ওয়াই। এই কৃত্রিম জোড় (শাস্ত্রের ভাষায় নিউক্লিওটাইড) ভবিষ্যতে কী বিপ্লব বয়ে আনে সেটাই দেখার বিষয়।
পতঙ্গদেহী উপগ্রহের উত্থান
-------------------------------
মাত্র ১০ ঘন সেন্টিমিটার। মানে আয়তনে মাত্র এক লিটার। ভর ১ কেজি ৩৩৩ গ্রাম। এ রকম উপগ্রহ, যাকে বলা হচ্ছে কিউবস্যাট, বছর দশেক আগে শিক্ষার্থীরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প হিসেবে বানাত।
এই দশ বছরে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। এ বছরে অন্তত ৭৫টি কিউবস্যাট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এখন আর কেবল বিজ্ঞানমেলার প্রকল্প নয়, কৃত্রিম উপগ্রহের চাহিদা মেটাচ্ছে পতঙ্গদেহী এ সব কিউবস্যাট। আকারে ছোট হওয়ায়, ভবিষ্যতে বিশেষ করে গোয়েন্দাগিরিতে গোপন বিপ্লব ঘটাবে এই পতঙ্গ।
-------------------------------
মাত্র ১০ ঘন সেন্টিমিটার। মানে আয়তনে মাত্র এক লিটার। ভর ১ কেজি ৩৩৩ গ্রাম। এ রকম উপগ্রহ, যাকে বলা হচ্ছে কিউবস্যাট, বছর দশেক আগে শিক্ষার্থীরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প হিসেবে বানাত।
এই দশ বছরে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। এ বছরে অন্তত ৭৫টি কিউবস্যাট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এখন আর কেবল বিজ্ঞানমেলার প্রকল্প নয়, কৃত্রিম উপগ্রহের চাহিদা মেটাচ্ছে পতঙ্গদেহী এ সব কিউবস্যাট। আকারে ছোট হওয়ায়, ভবিষ্যতে বিশেষ করে গোয়েন্দাগিরিতে গোপন বিপ্লব ঘটাবে এই পতঙ্গ।
No comments:
Post a Comment