ad

Saturday, February 14, 2015

ভালোবাসা নিয়ে সুন্দর কিছু কথা > এতে আর কিছু না হোক সত্যিকার ভালোবাসা কি তা বুঝতে পারবেন ও উপলব্ধি করতে পারবেন

ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশেষ কোন দিনের বা দিবসের প্রয়োজন হয় না। ভালোবাসার বিশেষ কোন রং নেই … প্রকৃত ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রতিটি দিনই ভালোবাসার এবং ভালোবাসার।
তবে এইটা সত্য যে ভালোবাসা প্রকৃতির (অর্থাৎ বিশেষ ঋতু যেমন বসন্ত ) উপর নির্ভর করে …আমি এই পোষ্টটি ভালোবাসা দিবসকে নিয়ে লিখি নি লিখেছি ভালোবাসার প্রিয় ঋতু বসন্ত কে নিয়ে … অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এই সময়টাতে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাবার অনুভূতি অনেক বেশি প্রকাশ পায় …
কারণ বসন্তের রঙে প্রেম সবসময়ই আরও রঙিন হয়েছে। বসন্ত কখনোই বিরহ হয়ে দেখা দেয়নি প্রেমে বরং মানব মনে বসন্ত প্রেমে পুষ্টি জুগিয়েছে আদি থেকে। প্রত্যেকটি মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে বসন্তের রঙে প্রেমকে অনুভব করে নতুন করে …
 ♡ ❥ ♂ ♀ 
“ ভালবাসা মানে কাউকে জয় করা নয় বরং নিজেই কারো জন্য হেরে যাওয়া। এটা জ্ঞানের গভীরতা দিয়ে হয়না, হয় হৃদয় এর পবিত্রতা দিয়ে !!! পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত এবং আলোচিত শব্দ “ভালবাসা”। এই ভালোবাসা কখনও কাঁদায়, কখন হাসায়, কেউ এর জন্য আত্মবিসর্জন দেয়। মানুষ কত ত্যাগ স্বীকার করে ভালোবাসার মানুষকে পাবার জন্য। আবার এই ভালবাসার জন্য মূল্যবান অনেক কিছুই হারায় যার জন্য বিন্দুমাত্র আফসোস ও কখনো হয় না ............।
আসলে আমাদের মানব মন খুব ই অস্থির এক জিনিস সে যে কি চাই সে আসলে নিজেও জানে না।
আবার সব কিছু জেনে শুনেও এই মন ভুল পথে পা বাড়ায় .........।
বিবেক তখন তাকে অজস্র বার নিষেধ করে ............।।
এই বিবেক ও মনের যুদ্ধে ... সব সময় মনেরই জয় হয় ......।।আর তখনি একজন মানুষ ভালবাসা অনুভব করতে পারে ... এবং ভালোবাসার মূল্য দিতে পারে ...
আর এই জন্যেই পৃথিবী এত সুন্দর ...।
না হলে তো পৃথিবীর সব মানুষ রোবট হয়ে যেত .........।”
 ♡ ❥ ♂ ♀ 
ভালোবাসা মানে পরস্পরকে বুঝতে পারা। আমি যে মানুষটিকে ভালোবাসব তাকে যদি না বুঝতে পারি তাহলে এই প্রেমের কোনো অর্থ আছে বলে মনে হয় না।
মুখে মুখে সবসময় ভালোবাসি ভালোবাসি বলার চেয়ে আমার মনে হয় ভালোবাসার মানুষটাকে বুঝতে পারা অনেক বড় ব্যাপার।
ভালোবাসা বেঁচে বা টিকে থাকে পরস্পরের বিশ্বাসে। যে প্রেমে বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয় সেখানে হয়ত প্রেম থাকে না, থাকে সামাজিকতাকে রক্ষা।
যে কাউকেই ভালোবাসা যায়। ভালোবাসা অনেক পবিত্র একটি অনুভূতি। স্বার্থসিদ্ধির জন্যও প্রেম করা উচিত নয়। প্রেম হচ্ছে পৃথিবীর মধুরতম সম্পর্ক যেখানে থাকবে না কোনো চাওয়া-পাওয়া, থাকবে না কোনো স্বার্থ, থাকবে শুধুই ভালোবাসা।
 ♡ ❥ ♂ ♀ 
নিজে অসুখী হয়ে অন্যকে ভালোবেসে সুখী করা যায়না। কেউ আপনার জীবনে সুখ এনে দেবে ভেবে কারো সাথে প্রেমে জড়াবেন না। বরং আপনি কারো জীবনে সুখ এনে দেবেন ভেবে প্রেম করুন।
ভালোবাসা দেওয়ার জিনিস, নেওয়ার জিনিস নয়। আপনি যদি ভালোবাসা দেওয়ার চেয়ে ভালোবাসা পাওয়াতে বেশি সুখ পান, তাহলে আপনি এখনো ভালোবাসার গভীরে যেতে পারেননি। গভীর ভালোবেসে যে সুখ পাওয়া যায় তার সাথে প্রায় অন্য কোনো সুখের তুলনা চলেনা!
ভালোবাসার সাথে প্রত্যাশার (expectation) কোনো সম্পর্ক নাই। সত্যিকারের ভালোবাসা শুধু ভালোবাসার মানুষটিকে সুখী করতে চায়, তার থেকে কোনো প্রতিদান আশা করে না। প্রত্যাশার চাপ আস্তে আস্তে ভালোবাসাকে মেরে ফেলে। আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনার প্রত্যাশা পূরণের মেশিন নয়।
সত্যিকারের ভালোবাসা মানুষকে মুক্ত করে, বেঁধে ফেলে না। ভালোবাসা আফিমের মতো, লোহার শিকল নয়। আপনার ভালোবাসার মানুষ খুব সম্ভবত আপনার কাছে ফিরে আসবে যদি আপনি তাকে মুক্ত করে দেন। লোহার শিকল দিয়ে ভালোবাসার মানুষকে আটকে রাখার চেষ্টা করলে পাখি খাঁচা ভেঙ্গে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। শেকল পরানোর চেয়ে পাখিকে ভালোবাসার আফিম খাওয়ান বরং।
 ♡ ❥ ♂ ♀ 
ভালোবাসাকে শুধু বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের মধ্যেকার সম্পর্ক মনে করে ‘ভালোবাসা’ নামক পবিত্র নামটাকে অপমানিত করবেন না। ভালোবাসার পরিধি মহাবিশ্বের মতোই বিশাল। ‘ভালোবাসা’ নামক বস্তুটিতে যতটা আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, তা আর অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। আর এই আত্মতৃপ্তির পরিপূর্ণ স্বাদ আপনি তখনই পাবেন, যখন এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা ও তার সৃষ্টিকে আপনি নিঃস্বার্থভাবে মনঃপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসতে পারবেন।
 ♡ ❥ ♂ ♀ 
* আপনি কখনই পারবেন না অন্য কারও ভালোবাসাকে ছিনিয়ে নিতে কিংবা জোর করে অন্যের ভালো লাগার মানুষ হতে। বরং আপনি যেটা পারবেন তা হল নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করতে যাতে যে কেউ আপনার ব্যাবহারে মুগ্ধ হয়ে আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করে।
 ♡ ❥ ♂ ♀ 
* আপনি যতোই ভাবুন না কেন যে- অন্যের জন্য আপনি কিছু করছেন কিংবা করে যাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই মানুষগুলো তা বুঝতে পারবে না। তাই বরঞ্চ উচিত হবে তাদের থেকে কোন কিছুর আশা না করা; নইলে আপনাকে দুঃখ পেতে হবে।
 ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
* বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হলে আপনাকে অনেক বছরের সাধনা করতে হবে, অথচ মাত্র এক সেকেন্ডের ব্যবধানে আপনার উপর থেকে সমস্ত বিশ্বাস উঠে যেতে পারে। সুতরাং বুঝে শুনে চলাই মঙ্গল।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
* জীবনে আপনি কি কি পেয়েছেন তা আপনি হামেশাই ভুলে যাবেন, কিন্তু কি কি হারিয়েছেন তা বারেবারে মনে পড়ে আপনার মনকে ক্ষত বিক্ষত করবে। সুতরাং সবসময় অতীতের ভালো দিকগুলো মনে করবেন, খারাপ কিছু ভেবে নিজেকে অযথা কষ্ট দিবেন না।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
* চোখের সামনে যাদেরকে দেখছেন তাদেরকে আগামিকাল সকালবেলা আর দেখতে পাবেন কিনা তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই কারো সাথে দ্বন্দ্ব থাকলে শেষ বিদায় হয়ে যাবার আগেই সম্পর্কটা সুন্দর করে নিন। যা কিছু হয়েছে তা ভুলে যান। শুধু মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসুন। দেখবেন আপনার নিজের অজান্তেই আশপাশের মানুষগুলো আপনাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
*.ভালোবাসা হচ্ছে এমন যখন কেউ আপনার হৃদয় ভেঙ্গে দেয়...
আর সবচেয়ে আবাক বিষয় হচ্চে......
আপনি সেই হৃদয়ের প্রতিটি ভাঙ্গা টুকরো দিয়ে তাকে ভালবাসেন .........।।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
*.কেউ তোমাকে পছন্দ করবে এই আশায় নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলো না...
তুমি যেমন আছ তেমনই থাকার চেষ্টা কর..., যে তোমাকে সত্যিকার অর্থেই ভালবাসবে সে সত্যিকারের তোমাকেই ভালবাসবে...
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
*.ভালোবাসার জন্য কালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহুর্তই যথেষ্ট...
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
*.একজন প্রকৃত প্রেমিক শত শত মেয়েকে ভালবাসে না, বরং সে একটি মেয়েকেই শত উপায়ে ভালোবেসে থাকে.........
*.পৃথিবীতে ভালোবাসা না পেয়ে হয়ত বেঁচে থাকা যায়, কিন্তু ভালো না বেসে বোধকরি বেঁচে থাকা যায় না।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
আবেগের বশীভূত হয়ে ভালোবাসার জন্য জীবনটা শেষ করে দেয়ার অর্থ- ভালোবাসার মানুষের পাশাপাশি আপনজনদেরকে সারাজীবনের জন্য হারানো, সেইসঙ্গে ভালোবাসার মানুষকে অপরাধী বানিয়ে চলে যাওয়া। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে বিসর্জন দেয়ার নাম জীবন নয়, তার জন্য লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার নাম জীবন।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
খুব তুচ্ছ কারনে যে কারো প্রতি ভালো লাগা তৈরি হতে পারে। কোন মেয়ের ভূবন ভুলানো হাসি দেখে এক মুহুর্তেই তাকে ভালো লেগে যেতে পারে। কিংবা রাস্তায় চলতে ফিরতে সুন্দরী কোন মেয়েকে এক পলক দেখেই যে কোন ছেলের হার্টবিট মিস হয়ে যেতে পারে। অথবা কোন ছেলে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলে, কিংবা গিটার বাজিয়ে, গান শুনিয়ে কোন মেয়েকে মুগ্ধ করে দিতে পারে। আর তাতে ছেলেটার প্রতি মেয়েটার এক ধরনের অনুভূতি তৈরি হয়। এই অনুভূতিগুলোকে আসলে ভালো লাগা বলে। ভালোবাসা নয়। ভালোবাসা এত সহজে হয়না। একজন মানুষের জন্য ভালোবাসা তৈরী হয় খুব ধীরে ধীরে। চাইলেই যে কাউকে ভালোবাসা যায়না। চাইলেই যে কাউকে ভালোবাসি বলা যায়না। চাইলেই সব ছেড়ে ছুঁড়ে কেউ একজনের হাত ধরে দূরে কোথাও পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করেনা। চাইলেই কেউ একজনের জন্য পুরো পৃথিবীর বিপক্ষে চলে যাওয়া যায়না। সেই কেউ একজন টা খুব স্পেশাল একজন মানুষ হয়। যাকে শুধু ভালোবাসাই যায়। চোখ বন্ধ করে যার উপর নির্ভর করা যায়। যে অনুভূতি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি হয় তা হারিয়েও যায় খুব দ্রুত। অনুভূতি হারিয়ে গেলে সে মানুষটাও কিছু না বলে চুপি চুপি আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যায়। তখন বুঝতে হবে আপনার প্রতি তার কখনো ভালোবাসা ছিল না। যা ছিল তার পুরোটাই ছিল ভালো লাগা। কারন যাকে ভালোবাসা যায় হুট করে রাস্তার মাঝখানে তার হাত ছেড়ে দিয়ে দূরে চলে যাওয়া যায়না। বেশিরভাগ মানুষই ভালো লাগা এবং ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য বের করতে পারেনা। আর তাইতো অভিমানী মেয়েটা আজো প্রতীক্ষা করে। নির্ঘুম রাতে বিছানায় শুয়ে ছটফট করে। আর তাইতো বোকা ছেলেটা অক্সিজেনের বদলে বুক ভরে নিকোটিন নেয়। রাত গভীর হলে মেয়েটার নাম্বার বন্ধ জেনেও সে নাম্বারে বার বার ফোন করে অস্থির সময় কাটায়....
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
ভালবাসা হল,বিসর্জন,নিজেকে বিলিয়ে দেয়া,উজার করে দেয়া কারু জন্যে ।
ভালবাসা হল,মনের মাঝে কারু ছবি একে রাখা,তার যত্ন করা, তাকে মূল্যায়ন করা, তার সম্মান রক্ষা করা,ভালবেসে যাওয়া ।
ভালবাসা হল,বেচে থাকার আশায় বেচে থাকা,যে বেচে থাকার আশা জাগায়
তাকেই ভালবাসা,তার কাছেই নিজেকে সপে দেয়া ।
ভালবাসা কোন ওয়াদা রক্ষা নয় ।
ভালবাসা হল,কারু প্রতি বিশ্বস্ত থাকা ।
শুধু তাকেই ভালবাসি,এ বিশ্বাসেই তার হাতটা ধরা ।
তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা নয়,তার স্বপ্ন গুলোকে পুরন করা ।
মাইলের পর মাইল এক সাথে হাটে যাওয়া,
কিংবা ঘণ্টার পর ঘন্টা কারু জন্যে আপেক্ষার নাম ভালবাসা নয় ।
ভালবাসা হল, হৃদয়ের সাথে মিশে থাকা,
কারু অস্তিত্তের উপস্থিতি নিজের মাঝে ধারন করা ।
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে শুধু তাকেই অনুভব করা, তার ছোট থেকে ছোট চাওয়া গুলো, পুরন করার আস্থিরতা,
তার ভালমন্দ সবখানেই নিজেকে খুজে পাওয়া ।
ভালবাসা হল, কাউকে দেখার ইচ্ছাই, মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠা, তার ভাবনাই জেগে থাকা,
নিজের সুখটাকে তার মাঝেই বিলিয়ে দিয়ে একটুখানি হাসি এটে দেয়া
আর সব থেকে বড় কথা ভালবাসা হল, সারাটা জীবন তার পাসে থাকা.....
আর সব প্রেম সফলও হয় না। প্রেমে ব্যর্থ হলে নিজের জীবন নষ্ট করে দেয়ার মানে নেই। আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তবতাকে মেনে নিতে শিখতে হবে। পৃথিবীতে প্রেম অল্পতেই শেষ হয় না। প্রেম জীবনে একবারও আসে না। প্রেম জীবনে বহুবার বহুরুপে আসে।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
তুমি যদি ভালবাসো মন থেকে যেখানে থাকেনা দৈহিক চাহিদা প্রথম শর্ত, যেখানে ভালবাসার ভবিষ্যত নির্ভর করে না লাভ ক্ষতির হিসেবের উপর সেখানে ভালবাসা কোন ভাবেই শুধু সময়ের উপর নির্ভর করতে পারেনা। মিথ্যে সার্থে ভরা তিন বছরের ভালবাসাও অর্থহীন তিন দিনের সত্যিকার ভালবাসার কাছে।
ভালবাসা ভালবাসাই এবং এর অনুভুতি সবসময়ের জন্য একই । সময় এখানে একমাএ অথবা প্রধান কারন নয়। বাস্তবতার বেড়াজালে যখন ভালবাসার মানুষ দুজন একে অন্য থেকে হয় বিচ্ছিন্ন, যখন মনের হাজার ইচ্ছাও দুটি মানুষকে রাখতে পারেনা কাছাকাছি তখন কিন্তু তাদের মধ্যে তীব্র বেদনার তৈরী হয়। কন্তু এই বেদনাটাকে যদি আমরা বিশ্লেষন করি তাহলে কি দেখতে পাই? দেখতে পাই যে তারা একজন আর একজনকে খুব মিস করতেছে, মিস করতেছে তাদের হাসি,কান্না,খুনসুটি। হয়ত তারা চোখও মোছে মনের মানুষের কথা ভেবে। আবার তাদের নির্মল আনন্দের উপলক্ষ্য এই কষ্টময় বেদনাটুকুই। তারা এটা ভেবে খুশি হয় যে তার ভালবাসার মানুষটি তাকে কত মিস করতেছে, তাকে নিয়ে কত ভাবতেছে, তার জন্য কথা জমিয়ে রাখতেছে। তারা ভেবে খুবই পুলকিত হয় যে তারা একজন আরএকজনকে কত ভালবাসে।
সত্যি বেদনাও মানুষকে আনন্দ দিতে পারে, দিতে পারে মনের মানুষকে নিয়ে গর্ব করার সুখময় সুযোগ। আর এই আনন্দই দুটি মানুষকে করে আরো রঙ্গিন, ভালবাসা করে আরো পরিণত।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
ভালোবাসা মানে সম্পর্ক, মানুষে মানুষে বিশ্বাসের ভিত্তি। ভালোবাসার অনেক রূপ। যেমন ভাই-বোনের ভালোবাসা, বাবা-মায়ের ভালোবাসা। পরিবারে একটা পশুর প্রতিও ভালোবাসা হতে পারে। যেমন অনেকে কুকুর পোষে, বিড়াল পোষে, অ্যাকুরিয়ামে মাছ রাখে, পাখিকে কথা বলতে শেখায়। এ সবকিছুই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। কেউ কেউ ভালোবাসা থেকে গাছ লাগায়, গাছের পরিচর্যা করে। মানুষের প্রতি গাছের ভালোবাসা আছে কিনা জানি না। হয়তো আছে।একটার পাশে গিয়ে তুমি পরিচর্যা করছ, খোঁজ নিচ্ছ দেখবে সেটি তাড়াতাড়ি বড় হয়ে উঠছে। অন্যটির কোনো খোঁজ নাওনি। তাই সে বেড়ে উঠছে না। এটা কিন্তু পরীক্ষিত। এর থেকেই বোঝা যায় গাছেরও অনুভূতি আছে। ভালোবাসা শুধু নর-নারীর প্রেমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের মধ্যেই ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে। একজন রাজনীতিবিদকে মানুষ ভালোবাসে। তাকে হয়তো সামনাসামনি কোনোদিন দেখেওনি। তবুও ভালোবাসে। কেন? শ্রদ্ধাবোধ থেকে!
একেকজনের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ তো একেক রকম। কারওটা সফট। কারও বেলায় খুবই অ্যাংরি। কারওটা কখনও কখনও স্বেচ্ছাচারিতার পর্যায়েও পড়ে। সে অধিকার খাটায়।
ভালোবাসার ঘনত্ব বেশি হলেই সেটাকে প্রেম বলা যায়। উদাহরণ দিয়ে বলি। একটি মেয়েকে আমার ভালো লাগে, তাকে ভালোবাসি। এই অনুভূতি যখন গাঢ় হয় তখন সেটাকে প্রেম বলা যেতে পারে।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ ♥❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
ভালোবাসার মাপকাঠিঃ
------------------------
একজনের ভালো গুন বা বাহ্যিক রুপ দেখে মুগ্ধ হলাম এবং তাকে ভালবেসে ফেললাম ...এবং মনেক বুঝালাম আমি তার প্রেমে পড়েছি।
এট কি আসলেই ভালোবাসা না ভালোলাগা ...? আমারা অধিকাংশই এই ভুলটা করতে থাকি কারো কোন ভালো গুন বা বাহ্যিক রুপ দেখেই বলি আমি তার এই গুনের জন্য তাকে ভালোবাসি ...।
অথবা তার বাহ্যিক রুপ বা সৌন্দর্য জন্য আমি পাগল হয়ে গেছি এবং আমি তাকে ভালবেসে ফেলেছি ...
প্রেমে আমি পরেছি ...
যে কারো ভালো গুন বা সৌন্দর্য কে সবাই পছন্দ করে সন্দেহ নেই.........!
তাহলে অন্যসব সাধারণ মানুষের সাথে প্রেমিক প্রেমিকার ভালোলাগার পার্থক্যটা কোথায়?
আসলে ভালোলাগা ও ভালোবাসার পার্থক্যটা এখানেই ...। ভালবাসা বুঝার জন্য আপনাকে অন্য সাধারনের ভালোলাগার চেয়ে অনেক উপরে যেতে হবে ... অর্থাৎ ভালোগুন গুলর সাথে তার দোষ গুলকেও মেনে নিতে হবে ...
প্রত্যেক মানুষের মাঝে ভালো খারাপ উভয় গুনই আছে ... এই উভয় গুন না থাকলে তো সে মানুষ পর্যায়ে পরে না ...
কে কোন গুনটাকে প্রাধান্য দিয়ে সমাজের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারছে ...তার উপর ভিত্তি করে মানুষকে বিবেচনা করা হয় ...
আমারা সবাই আমাদের কাঙ্ক্ষিত মানুষের কাছে আমাদের ভাল গুন গুলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি ...
সম্পর্ক যতই গভীরে যেতে থাকে তখন তার ভালো না লাগা গুন গুলো ও আস্তে আস্তে সামনে আস্তে থাকে ...
আর তখনি ভালোবাসা ও ভালোলাগা মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে ... কিন্তু সেই সময় আর নিজেকে ফিরানোর সুযোগ থাকে না ... শুরু হয় জটিলতার ... ভালোবাসা নামক সবচেয়ে সুখের বিষয়টা সবচেয়ে দুঃখের ও কষ্টের বিশয়ে পরিনত হয় ...।
একটা বিষয় কেউ চিন্তা করেছেন ...
কেন মায়ের ভালোবাসা এত প্রকৃত ও চিরন্তন...?
কারণ মা তার সন্তানের চরিত্রের সব দোষ কেই মেনে নেন এবং তা শোধরানোর চেষ্টা করেন সন্তানের ভালোর জন্য ...
আর আমারা ভালোলাগা মানুষটির দোষ বা ভালো না লাগা বিষয় গুলো মেনে না নিয়ে নিজের সুবিধার জন্য তাকে পাল্টাতে বলি ...আর তখনি শুরু হয় সম্পর্কের মূল ফাটল...
আর তখনি ভালোবাসার অপমৃত্যু ঘটে ...
ভালোলাগা অর্থাৎ আবেগ মানুষকে স্বপ্ন দেখায় আর বাস্তবতা সে স্বপ্নকে কষাঘাতে জর্জরিত করে। আবেগ আর বাস্তবতার লড়াইয়ে আবেগ কখনোই জয়ী হতে পারেনা। আবেগের বশবর্তী হয়ে কেও তার ভলোবাসার মানুষটির জন্য জীবনও দিতে পারে কিন্তু শুধু আবেগ তথা ভালোলাগা দিয়ে দাম্পত্য জীবনে সুখের ঠিকানায় পৌছে দিতে পারেনা। আর ভালোবাসা পাওয়াও সম্ভব নয়।
তাই শুধু আবেগ কিংবা ভালোলাগা নয় পারস্পরিক ত্যাগ এবং সঙ্গীটির দোষ মেনে নেয়ার ক্ষমতা এই মাপকাঠিতেই কেউ বিচার করতে পারে সে তার সঙ্গীকে কতোটা ভালোবাসে কিংবা তার সঙ্গী তাকে কতোটা ভালোবাসে। ভালোবাসার এ মাপকাঠিতে মেপে ভালোবাসতে পারলেই পাওয়া যাবে সুখ ও আনন্দ, যাওয়া যাবে ভালোবাসার সেই স্বপ্নের জগতে।
❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon ❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon ❤ ♡ ❥ ♂ ♀ heart emoticon
ভালোবাসা সারাজীবন টিকিয়ে রাখবেন যেভাবে …
------------------------------------------------------
ভালোবাসার মানুষের সাথে আপনার মতপার্থক্য হবে, বুঝবেন এটাই স্বাভাবিক। দু'জন মানুষের মাঝে খুব বেশি মিল থাকা সম্ভব হয় না কখনো। একই প্রাণ, একই আত্মা -- এইসব কেবলই গল্প-উপন্যাস -মুভির বিষয়। বাস্তব জীবনে আপনাদের অতীত আলাদা, আপনাদের চিন্তার ধরণ আলাদা, আপনাদের শৈশব-কৈশোর আলাদা। এই ভিন্নতার পরেও দু'জনে দু'জনার খুব কাছের মানুষ কেননা আপনারা দু'জনে একসাথে হয়েছিলেন দুইজনের সত্ত্বা হারিয়ে এক হয়ে মিশে যেতে নয়, বরং দু'জন পাশাপাশি একটি অভিন্ন লক্ষ্যে যাত্রা করতে। আর জান্নাতে যাওয়ার সেই প্রচেষ্টা মৃত্যু পর্যন্ত আপনি ছেড়ে দিবেন না নিজের স্বার্থেই, তাইনা? স্বামী-স্ত্রী দু'জনের কিছু ভিন্নতা কিন্তু প্রত্যেকের জীবনে ভারসাম্য তৈরি করে দেয়। মনোমালিন্য হলে সেই দুরত্বটুকুকে জোড়া লাগাতে উদ্যোগ নিয়ে ফেলুন। নিজে থেকে সমস্যা সমাধান করতে প্রথমে এগিয়ে আসলে যদি তখন মনের মাঝে জেগে ওঠা পরাজিত হবার টনটনে অনুভূতি, অহং বা দেমাগকে এই সুন্দরতম সম্পর্কতে হিসেবে নিয়ে আসেন তবে আপনি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এই সম্পর্কটার গোটাটাই আপনার --জীবনসঙ্গীর ভালো থাকা আসলে আপনারই ভালো থাকা। তাই দু'জনের ভিন্নতাটুকুকে গ্রহণ করে নিন এবং অপরজনকে স্বস্তি দিতে একটু যদি স্যাক্রিফাইস করতেই হয়, তবে করে ফেলুন। দেখবেন এটুকুর কারণে আপনি যেই আনন্দ আর শান্তি উপভোগ করবেন তা আপনার ওটুকু কষ্টকে ভুলিয়ে আপনাকে অদ্ভুত সুন্দর অনুভূতি দিবে। সুন্দর দাম্পত্য জীবনটা রেডিমেড পাওয়া যায় না, তাকে তিলে তিলে গড়ে নিতে হয়। গড়ে ওঠা সেই শান্তির বাড়ির কারিগর কিন্তু মূলত আপনিই! জ্বি, আপনি এবং আপনারা দু'জন...
একবার এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসা করা হলো তারা কীভাবে একসাথে ৬০ বছর কাটিয়েছিলেন। তারা উত্তর দিয়েছিলেন, আমরা যে সময়টাতে জন্মেছিলাম তখন কোন কিছুতে সমস্যা দেখা দিলে তার মেরামত করে সারিয়ে নিতাম, ছুঁড়ে ফেলে দিতাম না।
মনে রাখবেন আপনার একটা সামান্য ভুল আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর ও আপনাদের উভয়ের পরিবারের স্বপ্ন ও সুখকে ভেঙ্গে চুরমাচুর করে দিতে পারে .. আপনি হয়তো রাগের বা আবেগের বশীভূত হয়ে ভুলটা করেছেন কিন্তু যার সাথে করেছেন তার হয়তো আপনার রাগের পরিস্থিতি বুঝার ক্ষমতা নাও থাকতে পারে....
সো যখনি মাথা গরম হয়ে যাবে তখন স্রেফ একবার চোখ বন্ধ করে চিন্তা করুন
" তার অবস্থানে আপনি থাকলে আপনি কি করতেন ... কারো দোষ ত্রুটি ধরার আগে তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি চিন্তা করুন ... "
ভুলের জন্য বকা-ঝকা বা গালিগালাজ করলে সে কখনো নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয় না কারন সে ভাবে তার ভুলের সাজা পেয়ে গেছে অনুতপ্ত হয়ে লাভ কি ... !!!
আর আপনি যদি তার ভুল ধরিয়ে দিয়ে তাকে কিছু না বলেন তাহলে সে ভুলের জন্য অনুশোচনা করবে ...
আর অনুশোচনা চেয়ে কঠিন কোন শাস্তি এই পৃথিবীতে নাই ... তাকে অনুতপ্ত হওয়ার সুযোগ দিন ... নিজের ভুল উপলব্দি করতে দিন ...
এতে আপনি তার কাছে বড় ও মহান হয়ে থাকবেন ... ...আর সেও নিজের ভুল বুঝতে পেরে একই ভুল দ্বিতীয় বার আর করবে না ।

6 comments:

Ad

Popular Posts