ad

Friday, January 23, 2015

মানুষ আসলে সৃষ্টিগত কারণে

মানুষ আসলে সৃষ্টিগত কারণে সত্যের দিকে ধাবমান। সত্য কঠিন। আর সত্যকে ধারণ করা আরো কঠিন। কাছাকাছি থেকেও মানুষ একে অপরের মতের বিরুদ্ধে থাকতে পারে। আবার দূরে থেকেও মতের মিলের কারণে একে অপরের কাছাকাছি থাকতে পারে। ভালোবাসা অথবা মমত্ববোধ হার মেনে যায় আদর্শের কাছে। কারণ, বিবেক দংশন করে মানুষকে। বিবেকের দংশনে মানুষ সঠিক কাজ করতে বাধ্য হয়। যারা তা করেনা, তারাই হয়ে যায় অমানুষ। এদের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু, যারা আদর্শে বলিয়ান তাদেরকে মানুষ-অমানুষ সবাই সম্মান করে। যে কোন মানুষ নিজে কি? তা না ভেবে অন্যকে ভালো হতে হবে এই চিন্তাটিই সর্বদা করে। নিজে যত মন্দই হোক না কেন ভালোর প্রতি এক ধরনের টান অনুভব করে। আর এ কারণেই ভালোর কদর বেড়ে যায়। সে পেঁৗছে যায় অভিষ্ট লক্ষ্যে। সৃষ্টি হয় ভালো কিছুর। আর এ কারণেই সে পায় অমরত্ব। সৃষ্টিশীল কাজ বেঁচে রাখে তাকে। মানুষ পরবর্তিতে তার সেই আদর্শ লালন করে। সমৃদ্ধ হয় দেশ ও জাতি। আদর্শের কারণে দেশ ভেঙ্গে যায়। দূরের দেশগুলি এক কাতারে আবদ্ধ হয়। সংহতি আসে মানুষের মাঝে। ভালবাসা সৃষ্টি হয় একে অপরের মাঝে। সুন্দর হয় পৃথিবী। ধ্বংস আর লোভ দূরীভুত হয় মানুষের মাঝ থেকে। ত্যাগ করতে শেখায় মানুষকে। আপন হয় পর, পর হয় আপন। সেতুবন্ধন তৈরি হয় আলাদা শ্রেণি ও গোষ্ঠির মধ্যে। একে অপরকে শ্রদ্ধা করতে শেখে এবং শেখায়। সুখ এবং সমৃদ্ধি ধরা দেয় হাতের নাগালে। নীতিহীনরা হয়ে পড়ে অসহায়। সমাজ বদলে যায়। রাষ্ট্র সমৃদ্ধ হয়। মানুষ নিজেকে তুলে ধরে উর্দ্বে। সবার উপরে হয়ে ওঠে মহীয়ান, কীর্তিমান। মহীয়ান আর কীর্তিমানরা এক হয়ে যায় আদর্শের কারণে। যা অনুসরণ করে দেশ ও জাতি। এভাবেই রচিত হয় মানবসভ্যতা।

No comments:

Post a Comment

Ad

Popular Posts