"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" বই এর যে কথাগুলো আলাদা করে মনে থাকে ...।
১।পুরনো স্মৃতিগুলো মদের মতো, যত বেশিদিন মনের মধ্যে সঞ্চিত হয়ে থাকে ততই তার বর্ণ এবং স্বাদ এবং নেশা যেন মধুর হয়ে আসে ..................... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২। যে লোক ভালবাসে তাহাকে কেমন করিয়া খুশি করিতে হয় তাহা হৃদয় আপনি বলিয়া দেয় কিন্তু যে ভালবাসে না তাহার মন কী করিয়া পাইতে হয় তাহা মনও জানে না ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩। বিবাহ না করিয়া ঠকা ভাল , বিবাহ করিয়া ঠকিলেই মুশকিল ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪। ভালবাসার উৎসব কেবলমাত্র দুটি লোকের দ্বারা সম্পন্ন হয় না – সুখালাপের মিষ্টান্ন বিতরণের জন্য বাজে লোকের দরকার হয় ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫। ভোগসুখের ভয়ংকর অভিশাপ এই যে, সুখ অধিক দিন থাকে না কিন্তু বন্ধন দুশ্ছেদ্য হইয়া উঠে ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬। শিখা এক ভাবে ঘরের প্রদীপ রুপে জ্বলে আর এক ভাবে ঘরে আগুন ধরাইয়া দেয় ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭। দুঃখ কষ্টে যে শিক্ষালাভ হয় শুধু কানে শুনিয়া তাহা পাওয়া যায় না ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮। উগ্র বিষ শরীরে প্রবেশ করিলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাহার চরম ফল ফলিয়া শেষ হইতে পারে , কিন্তু বিষ মনে প্রবেশ করিলে মৃত্যুযন্ত্রণা আনে মৃত্যু আনে না ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯। একটা প্রবল উচ্ছ্বাসের পর হৃদয়ে অবসাদ উপস্থিত হয় – ক্লান্ত হৃদয় তখন আপন অনুভূতির বিষয়কে কিছুকালের জন্য দূরে ঠেলিয়া রাখিতে চায় । সেই ভাবের ভাঁটার সময় তলের সমস্ত প্রচ্ছন্ন পঙ্ক বাহির হইয়া পড়ে – যাহা মোহ আনিয়াছিল তাহাতে বিতৃষ্ণা জন্মে ............ চোখের বালি .........রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০। যাহা যথার্থ গভীর এবং স্থায়ী তাহার মধ্যে বিনা চেষ্টায়, বিনা বাধায় আপনাকে সম্পূর্ণ নিমগ্ন করিয়া রাখা যায় বলিয়া তাহার গৌরব আমরা বুজতে পারি না – যাহা চঞ্চল ছলনামাত্র, যাহার পরিতৃপ্তিতে লেশমাত্র সুখ নাই, তাহা আমাদিগকে পশ্চাতে ঊর্ধ্বশ্বাসে ঘোড়দৌড় করাইয়া বেড়ায় বলিয়াই তাহাকে চরম কামনার ধন মনে করি ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১১। সংসারে সুখের স্থানই সব চেয়ে সংকীর্ণ কোথাও তাহাকে সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে রাখিবার অবকাশ নাই ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১২। অন্যকে দোষী করিয়া যেটুকু সুখ , দোষ মনে রাখিবার দুঃখ তাহার চেয়ে অনেক বেশি ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩। যাহারা পরমাত্মীয় তাহাদের সঙ্গে সহজভাবের সম্বন্ধ দূর হইয়া গেলে, তাহাদিগকে পরের মত অনায়াসে ফেলিয়া দেওয়া যায় না, আবার প্রিয়জনের মতো অনায়াসে তাহাদিগকে গ্রহণ করা যায় না – তাহাদের সেই অত্যাজ্য আত্মীয়তা অহরহ ভাবের মতো বক্ষে চাপিয়া থাকে ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪। যে একেবারেই অভিমান করতে জানে না, সে ভালবাসতেও জানে না ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৫। যে ভালবাসে সে নিজের ভালবাসাকে বারবার অপদস্থ করিতে পারে না ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৬। লজ্জা ত্যাগ করিয়া প্রকাশ্যে দুঃসাহসের কাজ করিতে প্রবৃত্ত হইলে একটা স্পর্ধাপূর্ণ বল জন্মে ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৭। সংসারের কঠিন কর্তব্য হইতে প্রেমকে ফুলের মত ছিড়িয়া সতন্ত্র করলে তাহা কেবল আপনার রসে আপনাকে সজীব রাখিতে পারে না, তাহা ক্রমেই বিমর্ষ ও বিকৃত হইয়া আসে । সে প্রেম থাকিয়া থাকিয়া কেবলই মুষড়িয়া পড়ে – সংসারের দৃঢ় ও প্রশস্ত আশ্রয়ের অভাবে তাহাকে টানিয়া খাড়া রাখাই কঠিন হয়। কাজের মধ্যেই প্রেমের মূল না থাকিলে প্রেমের বিকাশ পরিপূর্ণ ও স্থায়ী হয় না ............ চোখের বালি ......... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৮। সুখের ইচ্ছেটা এমনি তাড়াতাড়ি এগিয়ে চলে যে, অনেক সময়ে সুখটাকেই ডিঙিয়ে চলে যায় এবং চক্ষের পলকে সমস্ত ফুরিয়ে ফেলে ..................... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৯। যতদিন মানুষ কোন লোককে বা বস্তুকে সম্পূর্ণ না জানে ততদিন কল্পনা ও কৌতূহল মিশিয়ে তার প্রতি এক প্রকার বিশেষ আসক্তি থাকে ..................... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০। পাওয়াটা নিজের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে । অন্যে কতটা দিতে পারে তা নিয়ে নালিশ ফরিয়াদি করা ভুল, আমি কতটা নিতে পারি এইটেই হচ্ছে আসল কথা । যা হাতের কাছে আসে তাকেই পুরোপুরি হস্তগত করে নেওয়া অনেক শিক্ষা সাধনা এবং সংযমের দ্বারা হয় ..................... রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
No comments:
Post a Comment