1.
তোমার নাম লিখতে লিখতে
-নির্মলেন্দু গুণ
এ পর্যন্ত তেত্রিশ কোটি বার তোমার নাম
লিখেছি।
তোমার নাম লিখতে লিখতে হাত ক্লান্ত
হয়েছে,
চোখ তবুও ক্লান্ত হয় না। দেখতে চায় তোমার
নামের শ্রী,
বানান, ব্যাকরণে এবং সম্মিলিত শব্দের
চেহারায়।
যেখানে তিনটি অক্ষরের ক্রমিক আড়াল
ভেঙে বেড়িয়ে আসে
তোমার হারিয়ে যাওয়া মুখ, গৌরচিক্কন
কন্ঠনালী, কোঁকড়ানো
চুলের এলানো খোঁপায়
জড়ানো একটুকরো লাল ফিতে।
কালো চশমার স্বপ্ন ঢাকা চোখ,
কিংবা শৈশবে হোঁচট খাওয়া
ঠোঁটের আদুরে দাগে সুন্দরের অনাবিস্কৃত
শোভা।
তারপর সমস্ত শরীর
ফেলে সোজা নেমে আসে তোমার ঐ
পায়ের তলায়, পদপ্রান্তে,
যেখানে অজান্তে ঘুমে একদিন আমি
হাত বুলিয়েছিলাম, অর্থাৎ যা কিছু তোমার,
তার দৃষ্টিগ্রাহ্য প্রায় সবাই
আমি দেখি তোমার নামের মধ্যে, যে নাম
লিখতে লিখতে
হাত ক্লান্ত হয়, জীবন প্রার্থনা করে মুক্তির,
অথচ চোখ ক্লান্ত হয় না।
-নির্মলেন্দু গুণ
এ পর্যন্ত তেত্রিশ কোটি বার তোমার নাম
লিখেছি।
তোমার নাম লিখতে লিখতে হাত ক্লান্ত
হয়েছে,
চোখ তবুও ক্লান্ত হয় না। দেখতে চায় তোমার
নামের শ্রী,
বানান, ব্যাকরণে এবং সম্মিলিত শব্দের
চেহারায়।
যেখানে তিনটি অক্ষরের ক্রমিক আড়াল
ভেঙে বেড়িয়ে আসে
তোমার হারিয়ে যাওয়া মুখ, গৌরচিক্কন
কন্ঠনালী, কোঁকড়ানো
চুলের এলানো খোঁপায়
জড়ানো একটুকরো লাল ফিতে।
কালো চশমার স্বপ্ন ঢাকা চোখ,
কিংবা শৈশবে হোঁচট খাওয়া
ঠোঁটের আদুরে দাগে সুন্দরের অনাবিস্কৃত
শোভা।
তারপর সমস্ত শরীর
ফেলে সোজা নেমে আসে তোমার ঐ
পায়ের তলায়, পদপ্রান্তে,
যেখানে অজান্তে ঘুমে একদিন আমি
হাত বুলিয়েছিলাম, অর্থাৎ যা কিছু তোমার,
তার দৃষ্টিগ্রাহ্য প্রায় সবাই
আমি দেখি তোমার নামের মধ্যে, যে নাম
লিখতে লিখতে
হাত ক্লান্ত হয়, জীবন প্রার্থনা করে মুক্তির,
অথচ চোখ ক্লান্ত হয় না।
No comments:
Post a Comment